Durga Puja 2019 | Durga Puja Nirghonto 2019 | Details Of
Durga Puja

- Durga Puja 2019 ,Durga Puja সম্বন্ধে কিছু কথা ঃ
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও Durga Puja ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
উৎসব গুলির মধ্যে একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এই Durga Puja শারদ উৎসব নামে পরিচিত,
আবার অনেকে একে শারদীয় বলে থাকেন ।এই Durga Puja তে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয় এবং
তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।প্রাচীনকাল থেকে এই পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও
বর্তমানে এই পুজো সার্বিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছ দেশের প্রতিটি কনায়।শুধু ভারতবর্ষ নয় পৃথিবীর
বিভিন্ন প্রান্তে Durga Puja সমান ভাবে জনপ্রিয়। শুধুমাত্র হিন্দু নয়,সমস্ত ধর্মাবলম্বী
মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে থাকেন ।যদিও Durga Puja পশ্চিমবঙ্গের প্রধান পুজো,তাও
বিহার উড়িষ্যা আসাম এর বিভিন্ন অঞ্ছলে এটি বহুল প্রচলিত একটি পুজো। Durga Puja
2019 বাংলাদেশের বহু প্রান্তে উদযাপিত হবে। Durga puja নেপালের মতো দেশেও জনপ্রিয়, যেখানে স্থানীয়ভাবে এটি দশাইন নামে পরিচিত
। এই উৎসবটি মহিষাসুর নামক রাক্ষসকে কেন্দ্র করে , যে অসুর কে অশুভ শক্তি হিসেবে
বিবেছনা করা হইএ থাকে এবং এই অসুভ শক্তি কে বিনাশ করার জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব
। খারাপ শক্তি কে বিনাশ করে শুভ শক্তি ক স্থাপন করার উদেশ্যে এই Durga Puja উদযাপিত
হয়। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সমস্ত ইশ্বরের সম্মিলিত শক্তি থেকে আদ্যাশক্তি
এর প্রতিমূর্তি হিসাবে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।তিনি অপরাজেয় রাক্ষস, মহিষাসুরকে
ধ্বংস করার জন্য সৃষ্টি হয়েছিলেন ।সংস্কৃতের দুর্গা অর্থ 'দুর্ভেদ্য'। দেবী দুর্গা
চূড়ান্ত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন । হিন্দু চন্দ্র বর্ষপঞ্জী অনুসারে, Durga Puja
অকালবোধন, শারদীয়া পুজো, শারদোৎসব, মহা পুজো, মায়ার পুজো নামগুলির দ্বারাও এটি পরিচিত. "গ্রেগরিয়ান
ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে উৎসব টি পড়ে।
- Durga
Puja 2019
Apart from West Bengal, Durga Puja plays one of the most important
festivals in India. These two Durga Puja are known as Sharad Festival, and
others are called Shardia. In this Durga Puja, the goddess Durga is worshiped
and venerated. Not only India but Durga Puja is equally popular in different
parts of the world. Not only Hindus but people of all faiths participate in
this puja. Even though Durga Puja is the main puja in West Bengal, Tao Bihar is
a very common puja in various parts of Orissa Assam. Durga Puja 2019 will be celebrated
in many parts of Bangladesh. Durga puja is also popular in countries like
Nepal, where it is locally known as Dashain. The festival focuses on the demon
named Mahisasura, the demon who is considered as an evil force and the
emergence of the goddess Durga to destroy this evil force. This Durga Puja is
celebrated with the aim of destroying the evil forces and establishing
auspicious powers. According to Hindu mythology, the goddess Durga emerged as
an image of Adyashakti from the combined power of all Gods. He was created to
destroy the invincible monster, Maheshasur. Goddess Durga represents the
ultimate power. According to the Hindu lunar calendar, it is also known by the
names Durga Puja, Premature, Shardia Pujo, Shardotsav, Maha Pujo, Maier Pujo. Following
the Gregorian calendar, the festival falls in September or October.
বিজয়াদশমি
ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে সাধারণত দশেরা নামে পরিচিত ।এই দিনে, মন্দ রাজা রাবণের উপর দেবতা রামের বিজয় উদযাপিত হয়।রামলীলা
প্রণীত হয়, এবং রাবণের প্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়া হয় যাকে চলতি ভাষায় রাবণ পোড়া বলা
হয় ।বিশ্বাস করা হয় যে রাম রাবণের সাথে যুদ্ধের আগে ভগবান রাম দুর্গার কাছে দেবীকে
প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি 108 নীল কমল এবং 108 টি প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর উপাসনা করেছিলেন
এবং দেবী Durga এর আশীর্বাদ নিয়ে রাবণের উপর তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
দুর্গাপুজো
একটি পৌরাণিক এবং ঐতিহ্যপূর্ণ প্রথা, যা বহু বছর ধরে চলে আসছে যদিও এর সঠিক উৎস কোথায়
তা জানা সম্ভব হয়নি। পৌরাণিক পুথি গুলি অনুযায়ী দুর্গাপুজো চৌদ্দশ দশক থেকে প্রচলিত
ছিল কিন্তু ইতিহাস বলে এটি শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতক থেকে এবং শুধুমাত্র অভিজাত এবং রাজা-মহারাজারা
এই পুজোর আয়োজন করতেন। বাংলা ও আসাম প্রদেশে ব্রিটিশ রাজত্বকালে দুর্গা পূজার সর্বাধিক
গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। আজকের দিনে , দুর্গাপূজার গুরুত্ব শুধু মাত্র আর ধর্মীয় উতসব
এ সীমাবদ্ধ নেই। এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিনত হয়েছে ।
The
date of the festival is known as Dashera in various places of Vijaya Dashami in
India. On that day, the victory of the god Rama over the evil king Ravana was
celebrated. Ramlila was made, and the idol of Ravana was burnt, which in the
prevailing language is called Ravana burn. It is believed that Ram fought with
Ravana. Earlier, Lord Ram prayed to the goddess near the fort. He worshiped the
goddess with 108 blue lotus and 108 lamps, and with the blessing of the goddess
Durga, she triumphed over Ravana.
Durga puja is a mythical and traditional practice that has been going on for many years,
though it is not known where its exact source is. According to mythological
books, Durga puja has been prevalent since the fourteenth century, but history
says it started from the sixteenth century and only the elite and the king-emperors
organized the puja. During the British rule in Bengal and Assam, Durga worship
increased in importance. To this day, the importance of Durga Puja is not just
limited to religious festivals. It has become a social and cultural festival.
- Durga puja 2019 নির্ঘন্ট

Mahalaya
|
Saturday
|
28 September 2019
|
Maha Panchami
|
Thursday
|
3 October 2019
|
Maha Sasthi
|
Friday
|
4 October 2019
|
Maha Saptami
|
Saturday
|
5 October 2019
|
Maha Ashtami
|
Sunday
|
6 October 2019
|
Maha Nabami
|
Monday
|
7 October 2019
|
Bijaya Dashami
|
Tuesday
|
8 October 2019
|
Name
| Day | Date |
- Rituals
and Attraction of Durga puja
পুজোর আচারে মন্ত্রগুলি (আধ্যাত্মিক রূপান্তর প্রকাশের শব্দ), শ্লোক (পবিত্র আয়াত), জপ এবং আরতি এবং নৈবেদ্য জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে বৈদিক মন্ত্র এবং সংস্কৃত ভাষায় দেবী মাহাত্ম্য পাঠ। শ্লোক অনুসারে দুর্গা শক্তি, পুষ্টি, স্মৃতি, সহনশীলতা, বিশ্বাস, ক্ষমা, বুদ্ধি, সম্পদ, আবেগ, আকাঙ্ক্ষা, সৌন্দর্য, তৃপ্তি, ধার্মিকতা, পরিপূর্ণতা ও শান্তির মূর্ত প্রতীক হিসাবে সর্বব্যাপী।
Durga Puja 2019 মহালয়া

মহালয়া শুনুন
এই দিন থেকে শুরু হয় পুজোর আমেজ, আশ্বিনের শারদ প্রাতে
বেজে ওঠে পূজোর ঘন্টা। চারিদিকের কাশফুল জানান দেয় জানান দেয় যে মা আসছে। মহালয়া
মানে পিতৃ পক্ষের সমাপ্তি এবং দেবী পক্ষের সূচনা, হিন্দু শাস্ত্রমতে সূর্য কন্যারাশিতে
প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ শুরু হয়। এই সময় পূর্বপুরুষদের আত্মারা পৃথিবীতে বেড়াতে আসে।
মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে দেবীপক্ষ শুরু হলে ওরা ফিরে যায় নিজের পারলৌকিক দুনিয়ায়।
এই বিশেষ পক্ষ এবং মহালয়ায় দিনটিকে
পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে । মহালয়ার
সাংস্কৃতিক দিকটাও চোখে পড়ার মতো ১৯৩০ সাল
থেকে মহালয়ার ভোর বেলা, অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে
একটি বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়, শ্রী
শ্রী চণ্ডীর পাঠ, বাংলা ভক্তিগীতি এবং যন্ত্রসংগীতের এক অশ্রুতপূর্ব সন্মিলন ঘটানো হয় এখানে ।আর এর একমাত্র
রুপকার হলে বাঙ্গালির প্রানের মানুষ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র । আজও আমাদের কাছে আজ মহালয়া,
মহিষাসুর মর্দিনী এবং বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র
সমার্থক একটা ব্যাপার । তাঁর গম্ভীর, তেজপূর্ণ, ভরাট গলার অসামান্য কণ্ঠ এবং পরিবেশনা
আজকের দিনেও আমাদের বস্তুবাদী জীবনের ঊর্ধ্বে এক অজানা স্বর্গীয় ভুবনে নিয়ে যায়,।আজও
প্রতিটি বাঙ্গালি প্রান অপেক্ষা করে থাকে ওই শুভ ক্ষণের। কখন ভোর হবে রেডিওর ওইপার
থেকে ভেসে আসবে সেই মধুর কণ্ঠস্বর “বাজলো তোমার বেনু” এবং “আশ্বিনের শারদ প্রাতে”।
“মহালয়া দেখতে যাওয়া” সেখানকার শারদীয়া উৎসবের এক বিশেষ অঙ্গ। যেই নদীর ঘাটে আগের বার বিসর্জন দিয়ে ফিরে এসেছিলাম
, সেই একি ঘাটেই ফিরে যাওয়া দেবী বরণের উদ্দেশ্যে। দেবী যেন নদীর বুক থেকে বেরিয়ে আসেন,
আর ফিরে যান নদীর বুকেই।
শুধু ভক্তি আর প্রকৃতির
সাথে একাত্মতাই নয়, পূজো পূজো গন্ধ নিয়ে পূজোর
প্রেমও দেখা দেয় বরাক এবং মহালয়াকে
কেন্দ্র করেই।
আজ থেকে 5-10 বছর আগেও
দুর্গাপুজো প্রধানত শুরু হতো ষষ্ঠী সপ্তমী থেকে কিন্তু এখন আপামর বাঙালি আবেগপ্রবণ
মন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পৌঁছে দেয় পঞ্চমী থেকে তাই দুর্গাপুজো এখন আর ষষ্ঠী থেকে
শুরু হয় না সেদিন থেকে বাঁচতে গেলে মহালয় থেকেই চারিদিকে সূচনা হয়। চতুর্থীর দিন
থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে সাজসজ্জার কাজ পুরোদমে চলতে থাকে মনে হয় যেন কোন কিছুর আবেগ তাড়িত
করছে তাদের।
- Durga Puja 2019 মহাষষ্ঠী
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মহা ষষ্ঠী সেই
দিন হিসাবে পরিচিত, যখন দেবী দুর্গা তাঁর ৪ সন্তানের দেবী সরস্বতী, দেবী লক্ষ্মী, ভগবান
গণেশ এবং ভগবান কার্তিকেয়কে নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন। মহা ষষ্ঠীর প্রাক্কালে
দেবী দুর্গার প্রতিমাটির মুখ উন্মোচন করা হয় ।এবং মূর্তি বেদি তে প্রতিষ্ঠা করা হয়।ষষ্ঠী
এর দিন থেকে শুরু হয়ে যায় আমন্ত্রন পর্ব। বাঙলার ঘরে ঘরে উমা রা তাদের শ্বশুর বারি
থেকে বাপের বাড়ি আসতে থাকে। এ ছাড়াও আরও দুটি আরো দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বোধন ও
অধিবাস ।
- Durga Puja 2019 মহাসপ্তমী

এই দিন, ভোর হওয়ার ঠিক
আগে, একটি কলা গাছ আচারের অংশ হিসাবে জলে ডুবানো হয়। একই নবপত্রিকা বলা হয়। এই কলাগাছ
কলা বউ নামে পরিচিত। সাধারণত একটি লাল হলুদ শাড়ি পরানো হয় এই কলা কাছ টিকে এবং গণেশের
ডানদিকে স্থাপন করা হয়, যার দ্বারা বোঝা যায় যে "কোলা বাউ" আসলে গণেশের
কনে। আরেকটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হ'ল "কোলা বউ" নয়টি উদ্ভিদের প্রতীকী উপস্থাপনা
যা একটি পবিত্র জটিল গঠন করে। পুরোহিতরা আচার অনুষ্ঠানের আগে বটবৃক্ষের কাণ্ডে আটটি
গাছের গোছা বেঁধে রাখেন। নয়টি পৃথক পাতা একত্রিত হয়ে “কোলা বাউ” গঠন করে - যা দুর্গার
গাছের রূপ হিসাবে বিবেচিত হয়.
- Durga Puja 2019 মহাঅষ্টমী

দুর্গাপূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
দিন। অষ্টমীর দিন শুরু হয় মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে।
সাদা ধুতি
পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের সুন্দর শাড়ি পরিহিত চেহারা অষ্টমী দিনের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়
থাকে অষ্টম দিনের সমাপ্তি এবং নবম দিনের শুরু হওয়ার মুহূর্তে , যখন পুরাণ অনুসারে
দুর্গা, মহিষাসুরের বিরুদ্ধে এক ভীষণ যুদ্ধে
জড়িত ছিলেন এবং চন্দ ও মুন্ড নামে রাক্ষস দ্বারা আক্রমণ করেছিলেন। দেবী চামুন্ডা দুর্গার
তৃতীয় চোখ থেকে আবির্ভূত হয়ে অষ্টমী ও নবমীর তীরে যথাক্রমে অষ্টম ও নবমীর দিন চন্ড
ও মুন্ডাকে হত্যা করেছিলেন। এই মুহুর্তটি সন্ধি পূজা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, এতে
108 টি কমল এবং 108 টি প্রদীপ দিয়ে পুজা করা হয়।এই সময় প্রায় আটচল্লিশ মিনিটের দীর্ঘ
পুজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । অষ্টমীর শেষ 24 মিনিট এবং নবমীর প্রথম 24 মিনিটে এই অনুষ্ঠানগুলি
করা হয়ে থাকে।
তবে এখন অষ্টমী মানে একটু আলাদা অষ্টমী মানে পাড়ার
মণ্ডপে কচিকাঁচাদের ভিড়, কপোত-কপোতিদের দেখা
হওয়ার অপেক্ষা, একে অপরের সাথে মিলন, এক বন্ধুর সাথে অন্য বন্ধুর সাক্ষাৎ এবং অবশ্যই বাজি
উৎসব। এই বাজির উৎসবটি এখন বহুল প্রচলিত মূলত বিভিন্ন রকমের আতশবাজি ফাটানো হয় সন্ধিক্ষণের
মধ্যে। যাকে আমরা অষ্টমী ক্ষেণ বলে থাকি ।
- Durga Puja 2019 মহানবমী
![]() |
সংগৃহীত |
“সন্ধি পূজা” শেষ হওয়ার
সাথে সাথে মহা নবমী শুরু হয়। হোম আর যজ্ঞে দুর্গা মায়ের রুপ এক অনন্য সুন্দুর রুপ
ধারন করে।সকাল থেকে মণ্ডপে ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে, দুপর থেকে শুরু হয় প্যান্ড্যাল
ঘোরার পালা।সারা দিন হইছই খাওয়া দাওয়া আনন্দ ফুর্তি তে কেটে যায়।
কিছু কিছু পুরান মতে এই দিন কুমারি পুজার ও প্রছলন
আছে ।কুমারী পূজা তে দেবী দুর্গা রূপে সুসজ্জিত অল্প বয়স্ক অবিবাহিত কুমারী মেয়েকে
দেবী রূপে পূজা করা হয়।
বিভিন্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং পূজা আয়োজকরা থিম ভিত্তিক পূজা প্যান্ডেলগুলির মাধ্যমে
একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করে।
- Durga Puja 2019 মহাদশমী

Durga puja এর চূড়ান্ত দিন ।এই দিন একদিকে যেমন খুব আনন্দের অন্যদিকে
দিনটি বড় বিষাদের ।এই দিনের অন্যতম আকর্ষণ হল সিঁদুর খেলা সব বিবাহিত মহিলারা সিন্দুর
নিয়ে একে অপরের গায়ে এবং গালে লেপন করেন। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনেই পিতৃ-গৃহ
ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন
করা হয়। ভারত ও নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দিনটি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু এই
দশমীকে ‘বিজয়া’বলা হয় কেন, তার পৌরাণিক ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে একাধিক কাহিনি সামনে আসে।
পুরাণে মহিষাসুর-বধ সংক্রান্ত কাহিনিতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি
যুদ্ধ করার পরে দশম দিনে তার বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন দেবী। শ্রী শ্রী চণ্ডীর কাহিনি
অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আবির্ভূতা হন, এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর-বধ
করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত করে। ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই দিন দশেরা হিসেবে উদযাপিত হয়। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি
সংস্কৃত ‘দশহর’ থেকে, যা দশানন রাবণের মৃত্যুর সাথে সম্পর্ক যুক্ত।বাল্মীকি রামায়ণে
কথিত আছে যে, আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতেই রাবণ-বধ করেছিলেন রাম। কালিদাসের রঘুবংশ,
তুলসীদাসের রামচরিতমানস, কিংবা কেশবদাসের রামচন্দ্রিকা-য় এই সূত্রের সঙ্গে সংযোগ রেখেই
বলা হয়েছে, রাবণ-বধের পরে আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম,
সীতা ও লক্ষ্মণ। রাবণ-বধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষেই যথাক্রমে দশেরা ও
দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত Durga puja , রামকৃষ্ণদেবের একটি কাহিনি স্মরণীয়। রানি
রাসমণীর জামাতা মথুরবাবু একদা আবেগবশীভূত হয়ে বিজয়ার দিনেও Durga দেবীকে বিসর্জন দেবেন না
বলে জেদ ধরে বসেন। তখন ঠাকুর রামকৃষ্ণ তাঁকে বোঝান যে, বিজয়ার অর্থ Durga দেবী-মা এবং সন্তানের
বিচ্ছেদ নয়। মা কখনওই সন্তানকে ছেড়ে থাকতে পারেন না। ঠাকুর বলেন, ‘একদিন বাইরের দালানে
বসে মা পূজা নিয়েছেন, আজ থেকে মা হৃদয়মন্দিরে বসে পূজা নেবেন।’ এই ব্যাখ্যায় মথুরবাবুর
মনের আঁধার দূরীভূত হয়। ‘প্রাধানিক রহস্য’ গ্রন্থে স্পষ্টই বলা হয়েছে ‘নিরাকারা চ সাকারা
সৈব...। অর্থাৎ যিনি নিরাকার, তিনিই সাকার। দেবী সাকার রূপে মর্ত্যে পূজা গ্রহণ করেছেন,
তারপর নিরাকার রূপে ফিরে গিয়েছেন কৈলাসে। তার অর্থ সন্তানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ নয়।
মা-সন্তানের চিরমিলনের এই শাস্ত্রীয় তত্ত্বই প্রাঞ্জলভাবে মথুরবাবুকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন
ঠাকুর রামকৃষ্ণ।
======================================================================